আলু ছাড়া আমাদের খাবার যে অসম্পূর্ণ তাতে কোন সন্দেহ নেই।আলু আমাদের অনেক ঐতিহ্যবাহী খাবারের অবিচ্ছেদ্য অংশ, যে কারণে একে সবজির রাজাও বলা হয়। আলু অপছন্দ করেন এমন মানুষ খুব কমই পাবেন। চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে, আলু থেকে কোনো ক্ষতি না হলেও এর মাত্রাতিরিক্ত সেবনে রক্তে শর্করা ও ইনসুলিনের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। আলুতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি রয়েছে, যা বিভিন্ন উপায়ে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধ, হৃদযন্ত্র ভালো রাখতে এবং সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে আলু খাওয়া উপকারী ।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, আলু প্রতিটি বাড়িতে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত থাকলেও কিছু পরিস্থিতিতে আলু খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। অতিরিক্ত পরিমাণে আলু খাওয়া রক্তে শর্করা এবং কোলেস্টেরল বৃদ্ধির ঝুঁকি বাড়ায়। এই কারণেই সমস্ত লোককে তাদের শারীরিক অবস্থার উপর ভিত্তি করে ডায়েট বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। আসুন জেনে নিই কোন রোগীদের আলু ন্যূনতম পরিমাণে খাওয়া উচিত।
ওজন কমাতে আলু ন্যূনতম খান
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপনি যদি অতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ভুগছেন এবং ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, তাহলে এতে আলু খাওয়া কমানো আপনার জন্য উপকারী। 100 গ্রাম আলুতে প্রায় 100 ক্যালরি থাকে, তাই এটি দ্রুত ওজন বৃদ্ধিকারী হতে পারে। অতিরিক্ত ক্যালরির কারণে শরীরে চর্বির পরিমাণ বাড়তে পারে, যার কারণে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে।
কিডনির সমস্যা বাড়তে পারে আলু
আলুতে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম রয়েছে, শরীরে পটাশিয়ামের উচ্চ মাত্রা কিডনি রোগে আক্রান্ত বা কিডনি ফেইলিওরের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। যখন কিডনি সঠিকভাবে কাজ করে না, তখন অতিরিক্ত পটাসিয়াম ফিল্টার করা কঠিন হয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে গেলে মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে।
হৃদরোগীরাও খেয়াল করেন
আপনার হৃদরোগ থাকলে, আপনার ডাক্তার সাধারণত আপনাকে বিটা-ব্লকার যৌগযুক্ত ওষুধ দেবেন। এটি রক্তে পটাসিয়ামের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। বিটা-ব্লকার গ্রহণের সময় উচ্চ পটাসিয়ামযুক্ত খাবার যেমন আলু পরিমিতভাবে খাওয়া উচিত। এটি আপনার জটিলতা বাড়াতে পারে। হৃদরোগে খাদ্যাভ্যাসের বিশেষ যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।
ডায়াবেটিসে আলু খাওয়া এড়ানো উচিত
আলুতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট থাকে, যার উচ্চ ব্যবহার ডায়াবেটিস বা স্থূলতায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য জটিলতা বাড়াতে পারে। যাদের রক্তে শর্করা অনিয়ন্ত্রিত থাকে তাদের আলু একেবারে এড়িয়ে চলা উচিত কারণ এটি দ্রুত শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়ায়। অতিরিক্ত পরিমাণে আলু খেলে ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত হতে পারে, তাই আলু খাওয়ার বিষয়ে বিশেষ যত্ন নেওয়া বাঞ্ছনীয়।