আপনার যদি গলা ব্যথা থাকে তবে এই অবস্থাটিকে উপেক্ষা করবেন না। এটি টনসিলের লক্ষণ হতে পারে। টনসিল এমন একটি শারীরিক সমস্যা, যার কারণে মানুষকে অনেক কষ্ট সহ্য করতে হয়। টনসিল এক ধরনের সংক্রমণ, যা ভুল খাদ্যাভ্যাস বা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাবের কারণে হয়। এ রোগে গলায় ব্যথা বা ব্যথা অনুভূত হয়। এটাকে সাধারণ সর্দি-কাশি বলে উপেক্ষা না করে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
টনসিলের তীব্রতা বোঝা যায় যে সংক্রমণের ফলে গলার ভিতরে ফুসকুড়ি বা ঘা তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে, ওষুধে যদি উপশম না হয় এবং ব্যথা দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকে, তাহলে তা গলার ক্যান্সারেও রূপ নিতে পারে। এমন অবস্থায় টনসিলের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। টনসিলের লক্ষণগুলো জানা থাকলে তা শনাক্ত করা সহজ হবে। অন্যদিকে টনসিল হওয়ার কারণ কী, সে সম্পর্কে জানা থাকলে রোগে আক্রান্ত হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। তাহলে জেনে নিন টনসিলের উপসর্গ, কারণ ও প্রতিরোধের ব্যবস্থা।
টনসিল কি
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, টনসিল গলার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ যা গলার দুই পাশে থাকে। টনসিলের কাজ হল শরীরকে বাহ্যিক সংক্রমণ থেকে রক্ষা করা। অর্থাৎ শরীরে ব্যাকটেরিয়া প্রবেশে বাধা দেওয়ার কাজটি করে টনসিল। তবে টনসিলে কোনো ধরনের ইনফেকশন হলে টনসিল বাড়তে শুরু করে। যার কারণে ভুক্তভোগীর কথা বলতেও অসুবিধা হয় এবং গলায় ব্যথা হয়। শিশুরা টনসিলের সংক্রমণে বেশি আক্রান্ত হয়।
টনসিলের লক্ষণ
- গলা ব্যথা
- খাবার গিলতে অসুবিধা হয়।
- কানের নিচের অংশে ব্যথা।
- চোয়ালের নিচের অংশে ফোলাভাব।
- গলা ব্যথার অনুভূতি।
- দুর্বলতা, ক্লান্তি এবং বিরক্তি।
- ছোট বাচ্চাদের শ্বাস নিতে অসুবিধা।
টনসিল সংক্রমণের কারণ
টনসিলে সংক্রমণের কারণ মুখের ময়লা এবং ভুল খাবার। টনসিলে সংক্রমণ হল একটি সাধারণ সর্দি কাশি, যা ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে এবং গলার সংক্রমণের কারণে হয়।
টনসিল সংক্রমণের চিকিত্সা
- টনসিল ইনফেকশন হলে উষ্ণ গরম জলে লবণ দিয়ে গার্গল করুন।
- গরম জলে মধু মিশিয়ে খেলে টনসিল থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- আদা জল দিয়েও গার্গলিং করা যেতে পারে।
- উষ্ণ গরম জলে ফটকিরি গুঁড়ো দিয়ে গার্গল করলে গলার ইনফেকশন সেরে যায়।