শরীরকে সুস্থ ও ফিট রাখতে বিশেষজ্ঞরা সব মানুষকে স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন। এতে মৌসুমি ফল ও সবজি অন্তর্ভুক্ত করা সবচেয়ে প্রয়োজনীয় বলে মনে করা হয়। এগুলো শুধু পুষ্টিগুণেই সমৃদ্ধ নয়, শরীরকে সুস্থ রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
গবেষণায়, সবুজ শাক-সবজির সাথে মূল শাকসবজি খাওয়াও খুব উপকারী বলা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাদ্যতালিকায় এগুলো অন্তর্ভুক্ত করলে অনেক মারাত্মক রোগের ঝুঁকি কমানো যায়।
মূল শাকসবজি ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ এবং সেইসাথে ক্যালোরি, চর্বি এবং কোলেস্টেরল কম। শিকড়কে উদ্ভিজ্জ ক্যারোটিনয়েডের একটি চমৎকার উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়, প্রাকৃতিকভাবে রঙ্গক যা নির্দিষ্ট ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে পারে। মূল শাকসবজি খাওয়া চোখ, হৃদপিণ্ড এবং রক্তনালীগুলিকে সুস্থ রাখতে উপকারী হতে পারে। আসুন জেনে নেই এর স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে।
রুট ভেজিটেবল খাওয়ার উপকারিতা
বিশেষজ্ঞরা সবুজ শাকসবজির সাথে মূল শাকসবজি খাওয়ার উপরও অনেক জোর দেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাদ্যতালিকায় বিভিন্ন রঙের সবজি অন্তর্ভুক্ত করাই ভালো। তারা সহজেই শরীরের বিভিন্ন পুষ্টি, ভিটামিন এবং মিনারেলের চাহিদা পূরণ করতে পারে।
শরীরকে সুস্থ ও সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পটাশিয়াম, ফোলেট, কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন এ, বি, এবং সি সহ ম্যাঙ্গানিজ প্রতিদিন প্রয়োজন, যা এই সবজি দ্বারা সহজেই পূরণ করা যায়। আসুন জেনে নিই এমনই কিছু সবজি ও তাদের উপকারিতা সম্পর্কে।
গাজরের অনেক গুণ রয়েছে
গাজরকে সবচেয়ে উপকারী মূল শাকসবজি হিসেবে বিবেচনা করা হয়, এটি সহজেই পাওয়া যায় এবং বিভিন্ন উপায়ে শরীরের জন্য উপকারী হতে পারে। গাজরে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন যা এটিকে খুবই উপকারী করে তোলে। শরীরের অভ্যন্তরে, বিটা ক্যারোটিন ভিটামিন এ রূপান্তরিত হয়। চোখ সুস্থ রাখার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী রাখার জন্যও ভিটামিন এ অপরিহার্য।
বিটের উপকারিতা
শরীরে আয়রনের অভাব হোক বা রক্তচাপের সমস্যা, বিটরুট খাওয়া আপনার জন্য বিশেষ উপকারী হতে পারে। বিটরুটে রয়েছে বিটেইন নামক একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা হার্টকে সুস্থ রাখতে এবং অনেক ধরনের মারাত্মক রোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক। বীটরুটে নাইট্রেট রয়েছে যা রক্ত সঞ্চালন ভালো করতে এবং রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
আলুরও অনেক উপকারিতা রয়েছে
আলু সবচেয়ে জনপ্রিয় মূল সবজি এক. একটি মাঝারি আকারের বেকড আলু 935 মিলিগ্রাম পটাসিয়াম সরবরাহ করতে পারে। এটি কলাতে পাওয়া পটাসিয়ামের দ্বিগুণ। এছাড়াও আলু ভিটামিন-সি এবং বি৬ এর একটি ভালো উৎস, এটি খাওয়া আপনাকে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা প্রদান করতে পারে। আলুতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও পাওয়া যায়, যা অনেক রোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক।