শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি পূরণের জন্য প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় বিভিন্ন ধরণের ফল এবং শাকসবজি অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। মৌসুমি ফল পুষ্টিগুণে ভরপুর। শুধু তাই নয়, কিছু ফলের মধ্যে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য আপনাকে সব ধরনের মারাত্মক রোগ থেকে নিরাপদ রাখতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে কিছু ফলের বেশিরভাগ পুষ্টি তাদের ত্বকে থাকে, তাই তাদের খোসা ছাড়িয়ে খেলে সেই পুষ্টির সম্পূর্ণ উপকার পাওয়া যায় না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ফল খাওয়ার সময় বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত। ফল থেকে সর্বাধিক উপকার পেতে, সঠিকভাবে এবং সঠিক সময়ে এটি গ্রহণ করা প্রয়োজন। আসুন জেনে নিই কোন ফল খোসা সহ খাওয়া বেশি উপকারী।
খোসা সহ শসা খান
আপনারও যদি শসার খোসা ছাড়িয়ে খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে তা ত্যাগ করুন, কারণ খোসাসহ শসা খাওয়া বিশেষ উপকারী। শসার গাঢ় সবুজ খোসায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অদ্রবণীয় ফাইবার, ভিটামিন-K এবং পটাসিয়াম থাকে।তাই এটি পরিষ্কার করে ধুয়ে খোসাসহ খাওয়া উচিত। আপনার হাইড্রেশন ভালো রাখতে শসা খুবই সহায়ক ফল।
![]() |
কমলা খাওয়ার উপকারিতা |
কমলা লেবুর উপকারিতা
কমলালেবু ভিটামিন-C-এর সর্বোত্তম উত্স, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখতে সহায়ক। ভিটামিন-C আপনাকে অনেক ধরণের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত রাখতেও খুব সহায়ক। কমলালেবুতে যে পরিমাণ ভিটামিন-সি থাকে তার দ্বিগুণ ভিটামিন-C খোসায় পাওয়া যায়। কমলার খোসায় রিবোফ্লাভিন, ভিটামিন-B৬, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়ামও রয়েছে। তাই কমলালেবুর খোসা রূপচর্চার কাজে লাগে।
![]() |
আপেল খাওয়ার উপকারিতা |
খোসা সহ আপেল খান
আপনি অবশ্যই অনেক লোককে আপেলের খোসা ছাড়িয়ে খেতে দেখেছেন, বিশেষজ্ঞরা এটিকে একটি ভুল উপায় বলে মনে করেন। আপেলের খোসাতেও রয়েছে নানা ধরনের পুষ্টি উপাদান যা আপনার বিশেষ উপকারে আসতে পারে। খোসা ছাড়া আপেলর তুলনায়, যদি আমরা খোসাসহ আপেল খাই, তাহলে এটি 332% বেশি ভিটামিন-K, 142% বেশি ভিটামিন-A, 115% বেশি ভিটামিন-C, 20% বেশি ক্যালসিয়াম এবং 19% বেশি পটাসিয়াম পেতে পারি।
![]() |
আমের খোসার গুণ |
আমের খোসার অনেক গুণ রয়েছে
কয়েকদিনের মধ্যেই বাজারে প্রচুর পরিমাণে আম পাওয়া যাবে। কাঁচা হোক বা পাকা, আমের খোসা সহ খাওয়া বেশি উপকারী। গবেষণায় দেখা গেছে যে, আমের খোসায় ম্যাঙ্গিফেরিন, নরেথ্রিওল এবং রেসভেরাট্রলের মতো শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। যা ফুসফুস, স্তন, মস্তিষ্ক, মেরুদণ্ডের ক্যান্সার এবং অন্যান্য অনেক গুরুতর রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। তাই খোসা সহ আম খেতে হবে।