শিশুর দুর্বলতার লক্ষণ: সুস্থ্য শিশুদের মধ্যে সবসময় শক্তি, উদ্যম এবং অস্থিরতা থাকে। বাচ্চারা স্কুল থেকে আসার সাথে সাথেই খেলতে যায়। খেলাধুলা করেও তারা ক্লান্ত হয় না। বাচ্চাদের সারাদিন দৌড় ঝাঁপ করে খেলার ক্ষমতা থাকে। এমতাবস্থায়, আপনার শিশু যদি খেলার জন্য আগ্রহী না হয়ে চুপচাপ বসে থাকে এবং খেলতে গেলেও সে ক্লান্ত বোধ করে এবং বিষণ্ণ থাকে, তাহলে বুঝবেন শিশুটি শারীরিকভাবে দুর্বল।
দুর্বলতার কারণে শিশুরা অলস হয়ে যায়। মাংসপেশির দুর্বলতার কারণে শিশুদের শুধু খেলতে নয়, হাঁটাচলায়ও অসুবিধা হয়। অনেক সময় শিশুদের দুর্বলতা এতটাই বেড়ে যায় যে তাদের পড়াশোনায় মন বসে না। আপনার শিশু দুর্বল কি না তা বুঝতে, জেনে নিন শিশুদের দুর্বলতার কিছু লক্ষণ। এর সাথে দুর্বলতার কারণ ও চিকিৎসা সম্পর্কেও জানুন।
শিশুদের দুর্বলতার কারণ ও লক্ষণ
শিশুর দুর্বলতার অনেক কারণ থাকতে পারে। পুষ্টির অভাব, পেশী দুর্বলতা, পোলিও, তীব্র ফ্ল্যাসিড মাইলাইটিস এবং অনেক রোগ শিশুর দুর্বলতা সৃষ্টি করতে পারে। দুর্বলতার কারণে শিশুর পড়াশোনায় যেমন অসুবিধা হয়, তেমনি শিশুর বিকাশও ধীরগতিতে হয়। তাদের উচ্চতা বাড়ে না এবং শিশুর ওজন কম থাকে। এমন পরিস্থিতিতে অবিলম্বে চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে শিশুর প্রয়োজনীয় সব পরীক্ষা করাতে হবে। জেনে নিন শিশুর দুর্বলতার লক্ষণ সম্পর্কে।
শিশুর মাথাব্যথা এবং ক্লান্তি
যদি শিশুটি ঘন ঘন মাথাব্যথার কথা বলে বা সামান্য খেলাধুলার পরে ক্লান্ত বোধ করে, তবে এটি অভ্যন্তরীণ অসুস্থতার লক্ষণ। অনেক সময় খেলাধুলা বা কিছু কাজ করার সময় শিশুর হৃদস্পন্দন বেড়ে যায় এবং শ্বাসকষ্ট হতে থাকে।
পায়ে ব্যথা এবং হাঁটা অসুবিধা
অনেক সময় পুষ্টির অভাবে শিশুদের পায়ে দুর্বলতা দেখা দেয়। দৌড়ানো এবং লাফানোর বয়সে, শিশুরা ভালভাবে হাঁটতে পারে না এবং প্রায়শই পায়ে ব্যথার অভিযোগ করে। বাচ্চাদের দাঁড়ানো, দৌড়ানো এবং লাফ দেওয়া কঠিন। এটি ক্যালসিয়াম অভাবের লক্ষণ।
বাহু এবং হাতে ব্যথা
কখনও কখনও শিশুরা হাত ও বাহুতে ব্যথার অভিযোগ করে। লেখার সময়, নিজে খাওয়ার সময়, খেলার সময়, ব্যাগ বহন করার সময় বা শার্টের বোতাম লাগানোর সময় বিরক্ত বোধ করে।
বার বার জ্বর হওয়া
শিশুর বার বার জ্বর হলে তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার পাশাপাশি শারীরিকভাবেও দুর্বল হয়ে পড়তে পারে।
শিশুর শুকনো মুখ থাকা
শিশুর মুখের শুষ্কতা, ফাটা ঠোঁট এবং চোখের নিচে কালো দাগ দ্বারা শিশুর দুর্বলতা চিহ্নিত করা যেতে পারে। শিশুদের মুখে র্যাশ আসতে পারে। তাদের কথা বলতে, গিলতে এবং চোষাতেও সমস্যা হয়।
দুর্বলতা এড়ানোর উপায়
1) শিশুদের মধ্যে দুর্বলতার লক্ষণ দেখা দিলে প্রথমে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান।
2) শিশুদের পুষ্টিকর খাবার দিন, যা প্রোটিন, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ।
3) শিশুকে হাইড্রেটেড রাখার চেষ্টা করুন।
4) শিশু কোনো ধরনের শারীরিক সমস্যার কথা বললে অজুহাত ভেবে অবহেলা করবেন না।